উত্তর:-
রাত্রিকালীন টহল ডিউটিরত অবস্থায় কোন অসনাক্তকৃত লাশ পেলে নিম্নবর্ণিত দায়িত্বসমূহ পালন করবঃ-
১। বিষয়টি টেলিফোনে বা বেতারযোগে থানার ওসি ও উর্ধ্বতন অফিসারকে অবহিত করব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০।
২। মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে গ্রহণ করব। থানা হতে যে টহল সিসি ও জিডি মূলে ডিউটিতে আসা হয়েছে তা সুরতহালের সূত্র হিসাবে ব্যবহার করব এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪, ১৭৫ ধারা পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে দুই/তিন জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী কর।
৩। মৃত ব্যক্তির আশে পাশে কোন বস্তু বা আলামত পাওয়া গেলে তা জব্দ করব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা ও পিআরবি বিধি ২৮০।
৪। অসনাক্ত লাশের আঙ্গুলের ছাপ নিব, পিআরবি বিধি ৩১৩। ৫। পত্রপত্রিকায় ও প্রচারের জন্য লাশের মুখমন্ডলের ছবি নিব, পিআরবি বিধি ৩১৪।
৬। ঘটনাস্থলের ও মৃতদেহের দৃশ্যাবলীর ছবি তুলব, পিআরবি বিধি ৬৩৫।
৭। মৃত লাশের পূর্নাঙ্গ ছবি নিব, পিআরবি বিধি ৬৩৮।
৮। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করব, পিআরবি বিধি ৩০৪, ৩০৫।
৯। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তথায় গুপ্তচর নিয়োগ করব, পিআরবি বিধি ২৯৫, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৫।
১০। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ ও পিআরবি বিধি ২৬৫ মতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্থ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের জবানবন্দী রেকর্ড করব।
১১। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার/গ্রেফতারের চেষ্টা করব, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৬।
১২। ময়না তদন্ত ও লাশের পরিচয় নির্নয় সাপেক্ষে মৃতদেহ সৎকারের জন্য তার আত্মীয়স্বজনের নিকট হস্তান্তর করব। পিআরবি বিধি ৩১০।
১৩। থানায় ফিরে এসে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে জিডিতে নোট দেব এবং তদন্তের ফলাফল ওসিকে অবহিত করব। ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ১৬৮ ধারা।
১৪। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি খুন বলে প্রতীয়মান হলে নিজেই বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করব। দন্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা।
১৫। প্রাথমিক ভাবে খুন মনে না হলে নিজেই বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, ১৭৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৪৩, ২৯৯।
১৬। লাশ পাওয়ার বিষয়টি টেলিফোনে বা বেতারযোগে এএসপি সার্কেল, পুলিশ সুপার কে অবহিত করব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০।