উত্তরঃ
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে এরূপ আদেশ প্রাপ্তির পর নিম্নবর্ণিত কাজগুলি সম্পাদন করবঃ-
১। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হব।
২। ঘটনাস্থলে গিয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৫ ধারা মতে ২/৩ জন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী হওয়ার জন্য তলব করব।
৩। অতঃপর লাশকে ভালমত পর্যবেক্ষণ করব। মৃত দেহে কোনরকম জখমের চিহ্ন বা অন্য কোন আলামত পাওয়া যায় কিনা। কোন জখমের চিহ্ন বা আলামত পাওয়া না গেলে এবং মৃত্যুতে কারও কোন সন্দেহ না থাকলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিব। সামাজিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় বিধান মোতাবেক লাশকে সৎকারের জন্য হুকুম দিব।
৪। যদি মৃত দেহে কোন জখমের চিহ্ন পাওয়া যায় কিংবা আলামতে কোন রকম সন্দেহ হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্নয়ের জন্য লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করব। পিআরবি বিধি ৩০৪, ৩০৫।
৫। সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে লাশ মর্গে প্রেরণের পূর্বে ঘটনাস্থলের ও মৃতদেহের দৃশ্যাবলীর ছবি তুলব, পিআরবি বিধি ৬৩৫।
৬। পিআরবি বিধি ২৮০ ও ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা মতে ঘটনার সাথে জড়িত কোন বস্তু বা আলামত পাওয়া গেলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তা জব্দ করব।
৭। পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে গোপনে ও প্রকাশ্যে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৬৫
৮। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় গুপ্তচর নিয়োগ করব। পিআরবি বিধি ২৯৫, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৫।
৯। মৃত্যু সম্পর্কে কেউ জড়িত থাকলে অপরাধীদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করব বা গ্রেফতারের চেষ্টা করব। ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৬।
১০। থানায় ফিরে এসে ওসি সাহেবের নিকট বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলব এবং সুরতহাল রিপোর্টসহ যাবতীয় কাগজপত্র অর্পণ করব। ওসি সাহেব পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।