উত্তরঃ কোন গৃহের মধ্যে চোরাইমাল থাকলে তা উদ্ধারের পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ-
১। কোন গৃহের মধ্যে চোরাইমাল থাকলে বিষয়টি প্রথমেই উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারগণকে অবহিত করতে হবে। কার্যবিধির ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০, পুলিশ আইনের ২৩(৩) ধারা।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩৭৭ মতে চোরাইমালের বিষয়টি জিডিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৩। পুলিশ আইনের ২৪ ধারা, পিআরবি বিধি ২১৩ মতে চোরাইমাল উদ্ধারের লক্ষ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট তল্লাশি পরোয়ানার জন্য আবেদন করতে হবে।
৪। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৮ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৮০ মতে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট হতে তল্লাশি পরোয়ানা নিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫। সংশ্লিষ্ট বাড়ী বা ঘরটি সশস্ত্র পুলিশ দ্বারা ঘেরাও করে রাখতে হবে। পিআরবি বিধি ১৪৫।
৬। বাড়ীর মালিকের অনুমতি নিতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২(১) ধারা।
৭। কমপক্ষে ২ জন নিরপক্ষে সাক্ষী ডাকতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(১) ধারা।
৮। বাড়ীর মালিক এবং সাক্ষীদের নিয়ে তল্লাশি করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(৩) ধারা।
৯। পরোয়ানায় উল্লেখিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থান তল্লাশি করা যাবে না। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৭ ধারা।
১০। তল্লাশিকৃত মালামাল ছাড়া অন্য কোন মালামাল হস্তগত করা যাবে না।
১১। তল্লাশি করে কোন চোরাইমাল পাওয়া গেলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিন কপি জব্দ তালিকা তৈরী করতে হবে এবং সাক্ষীদের সাক্ষর নিতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা।
১২। জব্দকৃত মালামালের গায়ে লেবেল লাগাতে হবে এবং লেবেলের গায়ে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
১৩। গৃহের মধ্যে কোন চোরাইমাল পাওয়া গেলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪(৪) ধারা মতে উক্ত গৃহের মালিককে গ্রেফতার করতঃ চোরাইমালসহ থানায় এসে বিষয়টি পুনরায় জিডিতে নোট দিতে হবে। পিআরবি বিধি ৩১৬।
১৪। পিআরবি বিধি ৩৭৯ মতে উক্ত চোরাইমাল থানার সম্পত্তি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
১৫। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪১১ ধারা মতে মামলা রুজু করে যথাসময়ে কোর্টে চালান দিতে হবে। কার্যবিধির ১৫৪, ৬১, ৮১ ধারা, পিআরবি বিধি ২৪৩।