উত্তরঃ কোন গৃহের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র থাকলে তা উদ্ধারের পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ-
১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা এবং পিআরবি বিধি ৩৭৭ মতে অবৈধ অস্ত্রের বিষয়টি জিডিতে নোট দিতে হবে।
২। পুলিশ আইনের ২৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২১৩ মতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট তল্লাশি পরোয়ানার জন্য আবেদন করতে হবে।
৩। অস্ত্র আইনের ২৫ ধারা মতে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট হতে তল্লাশি পরোয়ানা নিয়ে নিম্নলিখিত নিয়মাবলী মেনে তল্লাশি করতে হবেঃ
১) গৃহটি সশস্ত্র পুলিশ দ্বারা ঘেরাও করে রাখতে হবে। পিআরবি বিধি ১৪৫।
২) বাড়ীর মালিকের অনুমতি নিতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২(১) ধারা।
৩) নিরপক্ষে সাক্ষী ডাকতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(১) ধারা।
৪) সাক্ষীর এবং নিজের শরীর বাড়ীর মালিক দ্বারা তল্লাশি করতে হবে।
৫) বাড়ীর মালিক এবং সাক্ষীদের নিয়ে তল্লাশি করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(৩) ধারা।
৬) পরোয়ানায় উল্লেখিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থান তল্লাশি করা যাবে না। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৭ ধারা।
৭) তল্লাশিকৃত মালামাল ছাড়া অন্য কোন মালামাল হস্তগত করা যাবে না।
৮) তল্লাশি করে কোন অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিন কপি জব্দ তালিকা তৈরী করতে হবে এবং সাক্ষীদের সাক্ষর নিতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা।
৪। গৃহের মধ্যে কোন অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪(১) ধারা মতে উক্ত গৃহের মালিককে গ্রেফতার করতঃ অবৈধ অস্ত্রসহ থানায় এসে বিষয়টি পুনরায় জিডিতে নোট দিতে হবে। পিআরবি বিধি ৩১৬।
৫। পিআরবি বিধি ৩৭৯ মতে উক্ত অস্ত্রটি থানার সম্পত্তি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৬। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯-ক ধারা মতে মামলা রুজু করে যথাসময়ে কোর্টে চালান দিতে হবে।