Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্ন- ০৩। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে আমাদের দেশে কি কি ধরণের কলহ বা বিবাদ দেয়া যায়? স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে কলহ বা বিবাদ নিবারণ বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের ভূমিকা ও কর্তব্য আলোচনা কর।

প্রশ্ন- ০৩। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে আমাদের দেশে কি কি ধরণের কলহ বা বিবাদ দেয়া যায়? স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে কলহ বা বিবাদ নিবারণ বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের ভূমিকা ও কর্তব্য আলোচনা কর।

উত্তরঃ

স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে আমাদের দেশে নিম্নলিখিত কলহ বা বিবাদ দেখা যায়ঃ- 
১। স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা ও দখল নিয়ে আত্মীয় স্বজনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। 
২। স্থাবর সম্পত্তির বন্টন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। 
৩। স্থাবর সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। 
৪। জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরী নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। 
৫। স্থাবর সম্পত্তির ফসল কাটা ও পানি সেচ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। 
        স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে কলহ বা বিবাদ নিবারণ বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের ভূমিকা ও কর্তব্য নিম্নেআলোচনা করা 
হলোঃ- 
ম্যাজিষ্ট্রেটের ভূমিকা:- 
১। স্থাবর সম্পত্তির বিরোধপূর্ণ স্থানে গণ উপদ্রব বন্ধ করার জন্য ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৩ ধারা মতে ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ দিতে পারেন। 
২। স্থাবর সম্পত্তির বিরোধপূর্ণ স্থান বিপদের আশংকা মুক্ত করার জন্য জরুরী ক্ষেত্রে তৎক্ষনাৎ বলবৎ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ দিতে পারেন। 
৩। বিরোধপূর্ণ স্থানে শান্তিভঙ্গ ঘটতে পারে এমন পুলিশ রিপোর্ট বা সংবাদ পেলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারা মতে ম্যাজিষ্ট্রেট তার অধিক্ষেত্রের বিরোধপূর্ণ স্থানে স্থিতবস্থার আদেশ জারী করতে পারেন এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ওসিকে নির্দেশ দিতে পারেন। 
৪। ম্যাজিষ্ট্রেট যদি নিশ্চিত হন যে, কেউই বিরোধপূর্ণ স্থানের দখলদার ছিল না, সেক্ষেত্রে বিরোধপূর্ণ স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী সাব্যস্থ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৬ ধারা মতে ইহা ক্রোক করতে পারেন এবং ওসিকে রিসিভার নিয়োগ করতে পারেন। 
        পুলিশের ভূমিকাঃ 
১। স্থাবর সম্পত্তির বিরোধপূর্ণ স্থানে শান্তিভঙ্গ ঘটতে পারে এমন কোন অভিযোগ থানায় আসলে ওসি ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩৭৭ মতে বিষয়টি জিডিতে এন্ট্রি করবেন। বিরোধপূর্ণ স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ, খননসহ যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখার জন্য দন্ডবিধি আইনের ১৫৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৫২ মতে সতর্ক বানী ও নোটিশ জারী করবেন। 
২। বিরোধপূর্ণ স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে কলহ বা বিবাদ বা দাঙ্গা হাঙ্গামার সম্ভাবনা থাকলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩১৬ মতে বিনা পরোয়ানায় উভয় পক্ষকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করবেন এবং ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ১০৭ ধারা মতে অভিযুক্ত আসামীর বিরুদ্ধে নন-এফআইআর প্রসিকিউশন দাখিল করবেন। 
৩। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে পুলিশ আইনের ২৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২১৩ মতে স্থানীয় ম্যাজিষ্ট্রেটকে এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০ মতে উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারকে জানাতে হবে।

প্রশ্ন- ০৩। স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে আমাদের দেশে কি কি ধরণের কলহ বা বিবাদ দেয়া যায়? স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে কলহ বা বিবাদ নিবারণ বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের ভূমিকা ও কর্তব্য আলোচনা কর।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post