উত্তরঃ
কোন ফৌজদারীমামলার আসামী যদি কোন ম্যাজিষ্ট্রেট বা ক্ষমতাবান ব্যক্তির নিকট প্রলোভন, ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশ্রুতি ছাড়া স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে তাবে তাকে স্বীকারোক্তি বলে। সাক্ষ্য আইনের ২৪ ধারা, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা। নিম্নবর্ণিত স্বীকারোক্তি আদালতে প্রাসঙ্গিকঃ-
১। সাক্ষ্য আইনের ২৬ ধারা মতে কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের নিকট কোন স্বীকারোক্তি করলে তা যদি কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে হয় তাহলে ঐ স্বীকারোক্তি আদালতে প্রাসঙ্গিক।
২। সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারা মতে কোন আসামী পুলিশ অফিসারের নিকট কোন স্বীকারোক্তি করলে ঐ স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে কোন চোরাইমাল বা অবৈধ মাল উদ্ধার করা হলে যতটুকু মালামাল উদ্ধার করা হবে ততটুকু আদালতে প্রাসঙ্গিক।
৩। সাক্ষ্য আইনের ২৮ ধারা ও ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মতে যেরূপ দোষ স্বীকারের কথা সাক্ষ্য আইনের ২৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে তদরূপ দোষ স্বীকার যদি কোন প্রলোভন, ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশ্রুতি দানের ফলে সৃষ্ট ধারনা আদালতের মতে সম্পূর্ণভাবে অপসারিত হবার পর করা হয় তবে সেই স্বীকারোক্তি আদালতে প্রাসঙ্গিক।
স্বীকারোক্তি না করলেও নিম্নলিখিত বিষয়ের আলোকে আদালতে মামলা প্রমাণ করা যায়ঃ-
১। সাক্ষ্য আইনের ৫ ধারা মতে বিচার্য ঘটনা ও প্রাসঙ্গিক ঘটনা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করে আদালতে মামলা প্রমাণ করা যায়।
২। সাক্ষ্য আইনের ৬১ ধারা মতে দলিলী বিষয় বস্তু প্রমাণের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি না করলেও আদালতে মামলা প্রমাণ করা যায়।
৩। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা মতে মৃত্যুকালীন জবানবন্দীর মাধ্যমে আদালতে মামলা প্রমাণ করা যায়।
৪। সাক্ষ্য আইনের ৩৫ ধারা মতে এজাহার কর্তব্য সম্পাদনকালে সরকারী দলিলে লিপিবদ্ধ হিসেবে মামলা প্রমাণ করা যায়।
৫। সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারা মতে বিশেষজ্ঞের অভিমত আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মামলা প্রমাণ করা যায়।
৬। সাক্ষ্য আইনের ৪৭ ধারা মতে হস্তাক্ষর বা টিপসহি আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে মামলা প্রমাণ করা যায়।
